পাঁচবিবিতে ইটভাটায় দুর্ঘটনা পঙ্গু হতে চলেছে আদিবাসী শ্রমিক
আহসান হাবিব, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের মহীপুর ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পঙ্গু হতে চলেছে আদিবাসী শ্রমিক লম্বু পাহান (৪০)। লম্বু পাহান মহীপুর গ্রামের মৃত জয় কান্তের ছেলে।
জানাগেছে, গত ১২ মে বৃহস্পতিবার লম্বু পাহান প্রতিদিনের ন্যায় মহীপুর ইটভাটায় কাজ করছিল। এক পর্যায়ে হাওয়া মেশিনের কভারের উপর দিয়ে পার হবার সময় লম্বু পাহান পড়ে যায়। এ সময় তার বাম পা‘র হাঁটুর নীচ পর্যন্ত মাংস উঠে হাড় বের হয়। শ্রমিকরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে জয়পুরহাটে আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসকদের পরামর্শে বগুড়া শহিদ জিয়া ম্যডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে মালিক পক্ষের সহযোগীতার অভাবে হতদরিদ্র লম্বু পাহানের সু-চিকিৎসা হচ্ছে না। মহীপুর গ্রামের মোজ্জাম্মেল বলেন, অর্থের অভাবে লম্বুর চিকিৎসা হচ্ছে না। পায়ের মাংস পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। শুধু ডেসিং চলছে।
তিনি আরো বলেন, লম্বু সহায় সম্বলহীন। শুরু থেকেই সে ওই ইট ভাটায় কাজ করত। অথচ মালিক পক্ষ তার চিকিৎসার কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। লম্বুর স্ত্রী বিশাত মুনি বলেন, চিকিৎসকরা তার স্বামীর পা কেটে ফেলার কথা বলেছেন। মালিক পক্ষ চিকিৎসা ব্যয় বাবদ এ পর্যন্ত ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। প্রতিদিন ওষুধ কিনতে হচ্ছে। টাকার অভাবে অপারেশন হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। আমরা গরিব মানুষ এতো টাকা কোথায় পাব বলে তিনি জানান। ইট ভাটার ম্যানেজার আফজাল হোসেন বলেন, রোগীর খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে এবং অর্থনৈতিক সহযোগীতা দেওয়া হচ্ছে। আটাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ,স,ম সামছুল আরেফিন আবু চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আদিবাসী সংগঠনগুলো বিভিন্ন বিষয়ে মিছিল মিটিং করে অথচ হত দরিদ্র শ্রমিক লম্বু পাহানের ব্যাপারে তারা নিরব।