নবাবগঞ্জে গোপনে নারী সমাবেশ করার সময় ছয় নারীসহ সাতজন আটক

Exif_JPEG_420
প্লাবন গুপ্ত শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ৬ নং ভাদুরিয়া ইউনিয়নের হেলেঞ্চা আলিম মাদ্রাসা মাঠে গতকাল বুধবার দুপুরে গোপন সমাবেশ করার সময় ছয় নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হচ্ছে, নারী সমাবেশের আয়োজক উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের মশফিকুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা (৩৮), হেলেঞ্চা গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী জামেনা বেগম (৪০), পূর্ব ফতেপুর গ্রামের এরশাদ আলীর স্ত্রী রহিমা খাতুন (২২), রঘুন্দনপুর (কাঁঠালপাড়া) গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী মৌলিদা (৪৫), বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী ওই সমাবেশে মুখ্য আলোচক রাবেয়া বাসরী (২৭), ভাদুরিয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইউনুছ আলীর স্ত্রী মাসুমা (৫৬) ও বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আজিজ (৪৫)। ওই ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মান্নান, মশফিকুর রহমান ও আব্দুল মালেক নামের তিনজন পুলিয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেলেঞ্চা গ্রামের স্থানীয়রা বলেন, গ্রামের নারীদেরকে ধর্মীয় ওয়াজ শোনার কথা বলে ওই মাদ্রাসা মাঠে ডাকা হয়েছিল।
একই শর্তে গ্রামের কয়েকজন নারী বলেন, জামায়াতের নারী সংগঠনের মহিলা কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে সমবেত হয়ে এ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। পুলিশ খবর পেয়ে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করলেও কয়েকজন পালিয়ে গেছে।
ওই গ্রামেই বসবাসকারি ভাদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসমান জামিল বলেন, মাদ্রাসা মাঠে নারীদের কী ধরণের সমাবেশ হচ্ছিল তা তার জানা নেই।
উপজেলা জামায়াতের আমির ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, জামায়াতের নারী সংগঠনের আয়োজনে হেলেঞ্চা গ্রামে কোন সমাবেশ হয়নি।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দেশের বিভিন্ন স্থানের নারীদের নিয়ে হেলেঞ্চা আলিম মাদ্রাসার মাঠে নারীদের গোপন সমাবেশ করার সময় পুলিশ সমাবেশ থেকে উল্লেখিত ছয় নারীসহ সাতজনকে আটক করেছে। উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ক-১৫(১১) ধারায় আত্মঘাতী ও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষতি সাধনের অপরাধে মামলা করেছেন যার নম্বর ১৬। আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।